আপনাদের আন্তরিক অভিন্দন ও শুভেচ্ছা

Wednesday, July 11, 2018

একাদশ-দ্বাদশ প্রোগামিং ভাষা

একাদশ-দ্বাদশ
প্রোগামিং ভাষা
Programming Language
অধ্যায়ঃ পঞ্চম

কুইজ প্রশ্ন ও উত্তর

০১. কম্পিউটার প্রোগাম কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারে কোনো একটি বিশেষ কার্য সম্পাদন বা সমস্যা সমাধানের জন্য রচিত বা লিখিত ধারাবাহিক কতগুলো বিশেষ নিরদেশাবলী (instruction) বা কমান্ডকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলে।

০২. প্রোগামিং ভাষা কী?

উত্তরঃ কম্পিউটাকে আমাদের প্রয়োজনীয় নিরদেশাবলী জানানোর জন্য এক বিশেষ ধরণের ভাষা ব্যবহার হয়। এ বিশেষ ধরণের ভাষা কম্পিউটার প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে একে প্রোগামিং ভাষা বা Programming Language বলে।

০৩. কম্পিউটার প্রোগামিং ভাষার কয়টি প্রজন্ম?

উত্তরঃ কম্পিউটার প্রোগামিং ভাষার ৫টি প্রজন্ম।

০৪. গঠন বিচারে ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কম্পিউটার ভাষাকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।

০৫. যান্ত্রিক ভাষা কাকে বলে ?

উত্তরঃ কম্পিউটার যন্ত্রটি সরাসরি যে ভাষা বুঝতে পারে সেই ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষা বলে।

০৬. নিম্নস্তরের ভাষা কাকে বলে?

উত্তরঃ যান্ত্রিক ভাষায় শুধুমাত্র ০ ও ১ দিয়ে লেখা হয়, সেজন্য যান্ত্রিক ভাষাকে নিন্মস্তরের ভাষা বলা হয়।

০৭. কিসের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের ভাষা লেখা হয়?

উত্তরঃ বাইনারি ১ দ্বারা বিদ্যুত আছে (on) এবং ০ দ্বারা বিদ্যুৎ নেই (off) এর উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের ভাষা তৈরি করা হয়।

০৮. কবে অ্যাসেম্বলি ভষার প্রচলন হয়?

উত্তরঃ ১৯৫০ সাল থেকে।

০৯. অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম নির্বাহ প্রক্রিয়া কেমন ?

উত্তরঃ অ্যাসেম্বলি ভাষা প্রোগ্রাম → অ্যাসেম্বলার → অবজেক্ট প্রোগ্রাম

১০. উচ্চস্তরের ভাষার নাম লেখ।

উত্তরঃ BASIC, COBOL, C, C++, PASCAL, FORTRAN ইত্যাদি।

১১. C কী ?

উত্তরঃ উচ্চস্তরের প্রোগ্রাম ভাষা ।

১২. C++ কী ?

উত্তরঃ অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ভাষা।

১৩. কে C++ ডেভেলপ করেণ ?

উত্তরঃ বিয়ার্নে স্ট্রোভস্ট্রুপ।

১৪. ভিজুয়াল বেসিক কী ?

উত্তরঃ তৃতীয় প্রজন্মের ইভেন্ট ড্রাইভেন প্রোগ্রামিং ভাষা।

১৫. IDE এর পূর্ণ নাম কী ?

উত্তরঃ Integrated Development Environment

১৬. জাভা কী ?

উত্তরঃ জাভা একটি প্রগ্রামিং ভাষা।

১৭. ওরাকল কী ?

উত্তরঃ এটি একটি ডেটাভেজ মেনেজমেন্ট সফটওয়্যার।

১৫.ওরাকল কারা উন্নয়ন করেণ কারা ?

উত্তরঃ Software Drvelopment Labratories প্রতিষ্ঠান।

১৮. অ্যালগল কী ?

উত্তরঃ একটি উচ্চস্তরের ভাষা।

১৯. ALGOL এর পূর্ন নাম লেখ ?

উত্তরঃ Algorithmec Language

২০. ফোরট্রান কী ?

উত্তরঃ ফোরট্রান আদিতম উচ্চস্তরের নির্দেশমূলক প্রোগ্রামিং ভাষা।

২১.ফোরট্রান তৈরি করেণ কে ?

উত্তরঃ জন বাকস ও অন্যান্য আইবিএম-এ কর্মরত অবস্থায় ১৯৫০ সালে এর দশকের মাঝামাঝি ফোরট্রান তৈরি করেনভ।

২২. পাইথন কী ?

উত্তরঃ পাইথন হল অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা।

২৩. পাইথন তৈরি করেন কে ?

উত্তরঃ ১৯৯১ সালে Gudio Van Rossum তৈরি করেন।

২৪. চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারের সহজে ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবিত বিশেষ একটি ভাষাকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা বলা হয়।

২৫. উৎস প্রোগ্রাম কাকে বলে ?

উত্তরঃ উচ্চস্তরের এবং অ্যাসেম্বলি ভাষায় রচিত প্রোগামকে উংস প্রোগ্রাম ভাষা বলে।

২৬. অনুবাদক প্রোগ্রাম কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারের উৎস প্রোগ্রাম (যে ভাষায় প্রোগ্রামটি লেখা হয়) কে যন্ত্র ভাষায় অনুবাদ করে বস্তু প্রোগ্রামে রূপান্তর করে সে প্রোগ্রামকে অনুবাদক প্রোগ্রাম বলে। যেমন কিউ বেসিকে একটি প্রোগ্রাম লেখা হলো কিন্তু কম্পিউটার এ প্রোগ্রামটি বুঝবে না, এ প্রোগ্রামটিকে অনুবাদ করে মেশিনের ভাষায় (বাইনারিতে) বুঝিয়ে দিতে হয়। এ অনুবাদের কাজে অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়।

২৭. অনুবাদক প্রোগ্রাম কয় প্রকার ?

উত্তরঃ তিন প্রকার। ক. অ্যাসেম্বলার, খ. কম্পাইলার, গ. ইন্টারপ্রেটার

২৮. অ্যাসেম্বলার কী?

উত্তরঃ ইহা অ্যাসেম্বলার ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করে। এটি কোন কাজের সংক্ষিপ্ত শব্দ দ্বারা প্রোগ্রাম রচনা করা হয়।

২৯. অ্যাসেম্বলারের কাজ লিখ?

উত্তরঃ নিম্নে অ্যাসেম্বলারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দেওয়া হলোঃ ১. নেমোনিক কোডকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করে।
২. প্রত্যেক নির্দেশ ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা, ঠিক না থাকলে ঠিক করা।
৩. সব নির্দেশ ও ডাটা প্রধান মেমরিতে রাখে।
৩০. কম্পাইলার কী?

উত্তরঃ কম্পাইলার উচ্চ স্তরের ভাষার উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করে। কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে এক সঙ্গে পড়ে এবং এক সঙ্গে অনুবাদ করে। ভিন্ন ভিন্ন উচ্চ স্তরের ভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কম্পাইলার লাগে। কোনো নির্দিষ্ট কম্পাইলার একটি মাত্র উচ্চ স্তরের ভাষাকে মেশিন ভাষায় পরিণত করতে পারে। যেমন যে কম্পাইলার BASIC কে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করতে পারে তা FORTRAN কে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করতে পারে না।

৩১. কম্পাইলারের কাজ লিখ?

উত্তরঃ নিম্নে কম্পাইলারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দেওয়া হলোঃ ১. উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করা।
২. প্রোগ্রামকে লিংক করা।
৩. প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে তা জানানো।
৪. প্রয়োজনে বস্তু বা উৎস প্রোগ্রামকে প্রিন্ট করা।
৩২. ইন্টারপ্রেটার কী?

উত্তরঃ ইহা ব্যবহারে প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন করা ও প্রোগ্রাম পরিবর্তন করা সহজ হয়। কারণ ইন্টারপ্রিটারের প্রোগ্রাম আকারে ছোট বলে মেমরি বাঁচে। তাছাড়া ছোট কম্পিউটারে ইন্টারপ্রিটার ব্যবহৃত হয়। ইহা এক লাইন করে পড়ে ও অনুবাদ করে।

৩৩. ইন্টারপ্রেটারের কাজ লিখ?

উত্তরঃ নিম্নে ইন্টারপ্রেটারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দেওয়া হলোঃ ১. উচ্চ স্তরের ভাষাকে মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করা।
২. ইহা এক লাইন পড়ে ও অনুবাদ করে।
৩. ইহা প্রতিটি লাইনের ভুল প্রদর্শন করে অনুবাদ কাজ বন্ধ করে দেয়।
৪. ডিবাগিং ও টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে।
৩৪. অ্যালগরিদম কাকে বলে?

উত্তরঃ বিশিষ্ট্ গনিতবিদ আল খারজমীর নাম থেকে অ্যাগরিদম কথাটির উৎপত্তি হয়েছে। কোন সমস্যা সমাধানের ধাপসমূহকে ভাষাগতভাবে লিপিবদ্ধ করাকে অ্যালগরিদম বলে। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম রচনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় অংশের নাম অ্যালগরিদম। প্র্রোগ্রাম রচনা ও নির্বাহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে লিপিবদ্ধ থাকে অ্যালগরিদমে।

৩৫. অ্যালগরিদমের বৈশিষ্ট লিখ?

উত্তরঃ নিম্নে অ্যালগরিদমের বৈশিষ্ট দেওয়া হলোঃ ১। সহজবোধ্য হবে।
২। কাজের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট হতে হবে।
৩। প্রত্যেকটি ধাপে স্পস্ট হবে যাতে যেকোন প্রোগ্রামার সহজে বুজতে পারে।
৪। ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
৫। প্রোগ্রামের ভুল নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
৬। প্রোগ্রাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করবে।
৩৬. ফ্লোচার্ট কী?

উত্তরঃ ফ্লোচার্ট হচ্ছে এক ধরণের রেখাচিত্র যার সাহায্যে একটি এলগরিদম বা প্রক্রিয়াকে প্রকাশ করা যায়।

৩৭. ফ্লোচার্ট কয় প্রকার ?

উত্তরঃ ২ প্রকার। ক. সিস্টেম ফ্লোচার্ট খ. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট।

৩৮. সিস্টেম ফ্লোচার্ট কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোন সংগঠনের সকল কাজের একটি চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করলে তাকে সিস্টেম ফ্লোচার্ট বলা হয়।

৩৯. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট কী?

উত্তরঃ কোন প্রোগ্রামের এলগরিদম রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করাকে প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট বলে।

৪০. ডিবাগিং কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রোগ্রামের ভুল ত্রুটি সংশোধন করাকে ডিবলিং বলে।

৪১. ডকুমেন্টশন কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভুল সংশোধনের পর প্রোগ্রাম ঠিকমতো কাজ করলে তা ভবিশ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষন করে রাখতে হয়। আর এই সংরক্ষনকে প্রোগ্রাম ডকুমেন্টশন বলে।

৪২. প্রয়োগের ভিত্তিতে উচ্চস্তরের ভাষাকে কয় ভাগে ভাগ করা গয় ?

উত্তরঃ ২ভাগে ভাগ করা যায়।

৪৩. প্রোগ্রামে কয় ধরনের ভুল হয় ?

উত্তরঃ ৩ ধরনের ভুল হয়। ক. সিনটেক্স ভুল, খ. লজিক্যাল ভুল, গ. তথ্য ভুল।

৪৪.সিনটেক্স ভুল কী?

উত্তরঃ সাধারণত প্রোগ্রামের ভাষার ব্যাকরণগত ভুলগুলোকে সিনটেক্স ভুল (Syntax Error) বলে। যেমনঃ বানান ভুল, কমা, ব্রাকেট না দেওয়া।

৪৫.যুক্তিগত ভুল কী?

উত্তরঃ প্রোগ্রামে যুক্তিগত যে সমস্ত ভুলগুলো থাকে সেগুলোকে যুক্তিগত ভুল (Logical Error) বলা হয়।

৪৬.তথ্য ভুল কী?

উত্তরঃ প্রোগ্রামে তথ্য (information) সংক্রান্ত যে সমস্ত ভুলগুলো থাকে সেগুলোকে তথ্য ভুল (information Error) বলা হয়।

৪৭. স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং কী ?

উত্তরঃ স্ট্রাকচার প্রোগ্রামিং হলো একটি প্রোগ্রামের স্টেটমেন্টগুলো ভিন্ন ভিন্ন শ্রেনিতে বিভক্ত করে লেখা। স্ট্রাকচার প্রোগ্রামের সংগঠনের একটি মূল অংশ।

৪৮. ভিজুয়্যাল ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং কী?

উত্তরঃ ভিজুয়্যাল প্রোগ্রাম হলো এটও GUI (Graphical User Interface) এ তৈরী করার প্রোগ্রাম।

৪৯. অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং কী?

উত্তরঃ প্রোগ্রামিং মডেগুলোর মধ্যে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং মডেল নতুন এবং জনপ্রিয়। অবজেক্ট বা চিত্রভিত্তিক কমান্ডের সাহায্যে চালিত প্রোগ্রামকে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং বলা হয়।

৫০. ইভেন্ট কী?

উত্তরঃ কী-বোর্ডের কোনো কীতে চাপ দেওয়া, কোনো বিশেষ কন্ট্রোলের উপর মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করা ইত্যাদি হলো ইভেন্ট।]

৫১. ডেটা টাইপ কী?

উত্তরঃ ডেটার ধরনকে ডেটা টাইপ বলা হয়। C প্রোগ্রামিং এ বিভিন্ন প্রকার ডেটা নিয়ে কাজ করা হয়।

৫২. ইউনারি অপারেটর কী ?

উত্তরঃ যে সকল অপারেটর একটি মাএ অপারেন্ড নিয়ে কাজ করে তাদের ইউনারি অপারেটর বলে ।

৫৩. বাইনারি অপারেটর কাকে বলে ক?

উত্তরঃ যে সব অপারেটর দুইটি অপারেন্ড নিয়ে কাজ করে তাদেরকে বাইনারি অপারেটর বলে ।

৫৪. কী ওয়ার্ড কী ?

উত্তরঃ বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত শব্দগুলে কে কী ওয়ার্ড বলে ।

৫৫. স্টেটমেন্ট কী ?

উত্তরঃ প্রোগ্রামে কোন এক্রপ্রেশনের শেষ যখন সেমিকোলন (;) দেওয়া হয় ,তখন প এর ভাষায় একে .স্টেটমেন্ট বলা হয় ।

৫৬. স্টটমেন্ট কত প্রাকার ?

উত্তরঃ স্টেটমেন্ট ২ প্রকার ।

৫৭. কট্রোল স্টেটমেন্ট কাকে বলে ?

উত্তরঃ পোগ্রামে শর্ত সাপেক্ষে কোন স্টেটমেন্ট সম্পাদনের জন্য কন্ডিশনাল কন্ট্রল ব্যবহার হয় । এরূপ শর্ত যুক্ত স্টেটমেন্ট কে কন্ডিশনাল কন্টোল স্টেটমেন্ট বলে ।

৫৮. অ্যারে কী?

উত্তরঃ অ্যারে হলো একই ধরনের ডেটার সমাবেশ। কতকগুলো ভেরিয়েবল ডেটা উপাদানের সমষ্টিকে অ্যারে বলে। অ্যারে শব্দের অর্থ হলো শ্রেণী বা বিন্যাস। একই জাতীয় বা সমজাতীয় ডেটার বিন্যাসকে বলা হয় অ্যারে।

৫৯. একমাত্রিক অ্যারে কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে অ্যারো তে একটি মাএ কলাম ও একাদিক সারি অথবা একটি মাএ সারি এবং একাদিক কলাম উপস্থাপন করা হয় তাকে একমাএিক অ্যারে বলা হয় ।

৬০. দ্বিমাত্রিক অ্যারে কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে অ্যারে তে একাদিক সারি ওএকাদিক কলামে ডেটা উপস্থাপন করা হয় তাকে দ্বিমাএিক অ্যারো বলা হয় ।

৬১. ফাংশন কাকে বলে ?

উত্তরঃ বড় কোন প্রোগ্রামকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার পদ্বিতি কে ফাংশান বলে ।

৬২. লাইবেরির ফাংশান কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে ফাংশানপূর্ব থেকে তৈরি করা থাকে এবং ফাংসন গুলো ফাংশন প্রোটোটাইপ বিভিন্ন হেডার ফাইলে দেওয়া থাকে । এ দরনের ফাংশন গুলোকে লাইব্রেরি ফাংশন বলে ।

৬৩. প্রোগ্রাম কী?

উত্তরঃ প্রোগ্রাম বা সপটওয়ার হলো কতগুলো ধারাবাহিক নির্দেশনা যা একটি কম্পিউটার কে কোন কাজ সম্পাদন করার জন্য নির্দেশ দিয়ে থাকে । একটি কম্পিউটার অনেক বড় এবং জটিল সমস্যা সমাদান করতে পারে । সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য ক¤িপউটারকে নির্দেশনা দেওয়া হয় । এ নির্দেশনা সেট কে পোগ্রাম বা সফটওয়ার বলে ।

৬৪. পোগ্রামের ভাষা কাকে বলে?

উত্তরঃ কম্পিউটার মানুষের ব্যবহুত ভাষা বুঝতে পারে না । যে বোধগম্য ভাষার কোন নিদিষ্ট সমস্যা সমাদানের জন্য কম্পিউটারকে নির্দেশনা প্রধান করা হয় ,তাকে প্রোগ্রাম ভাষা বলে ।

৬৫. মেশিন ভাষা কাকে বলে ?

উত্তরঃ অতীতে কম্পিউটার আকৃতি ছিল খুব বড় এবং তা ব্যবহারের ক্ষেএে নির্ভর যোগ্য ছিল না ।এক্ষেএে কম্পিউটারের প্রোগ্রামং করার ক্ষেএে ব্দিমুখী সুইচ ব্যবহার করা হতো ।এ সময় প্রোগ্রাম ব্যবহারের কোনো সুবিধা ছিলো না , সম্পূন্য হার্ডওয়ার প্রযুক্তি তে কম্পিউটার প্রোগামিং করা হতো । পরবর্তিতে কম্পিউটারের জন্য ১ এবং ০ ব্যবহার করে পোগ্রামিং করা হয় যা কম্পিউটারের মেশিন ভাষা নামে পরিচিত ।

৬৬. অসেম্বিলি ভাষা কী ?

উত্তরঃ প্রোগ্রামিংয়ের কাজের সহজ কারর জন্য মেশিন ভাষার পরে অসেমলি ভাষা উদ্বভ ঘটে । অ্যাসেম্বলি ভাষাকে দ্বিতীয় প্রজন্মের ভাষা বা সাংকেতিক ভাষাও বলা হয় । ১৯৫০ সালে অ্যাসেম্বলি ভাষা চালু হয় । এতে পোগ্রাম লেখার কাজ অনেক সহজ হয়।

৬৭. মধ্যস্তরের ভাষা কী?

উত্তরঃ ১৯৬০ সালের দিকে ইংরেজী ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রচনার করার জন্যে যে ভাষা আবিষ্কৃত হয় তা মধ্যস্তরের ভাষা নামে পরিচিত।

৬৮. উচ্চস্তরের ভাষা কী?

উত্তরঃ উচ্চস্তরের ভাষা হলো ইংরেহজী ভাষা এবং আরো বেশি কাঠামোবদ্ধ। উচ্চস্তরের ভাষা আমেরিকান ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইন্সটিটিউটের নির্দেশ মেনে বেশির ভাগ উচ্চস্তরের ভাষা তৈরী হয়। উচ্চস্তরের ভাষা সহজে লেখা যায়, সংকলন করা যায় এবং ভুল সংশোধন করা যায়। উচ্চস্তরের ভাষায় বৈশিষ্ঠ্য হল ইহা বানিজ্যিক ও বৈঙ্গানিক প্রয়োগের ভাষা। এটা বহু প্রয়োগ ও চতুর্থ প্রজন্ম ভাষা । তাই উচ্চস্তরের ভাষাকে বহুপ্রয়োগের ভাষা বলা হয়।

৬৯. সি কী?

উত্তরঃ সি হলো উচ্চস্তরের প্রোগ্রাম ভাষা। ১৯৬৯-১৯৭৩ সালে Dennis Ritchie সি প্রোগ্রাম ভাষার উদ্বাবন করেন। কম্পিউটারের প্রোগ্রাম লেখার ক্ষেত্রে সহজভাবে ব্যবহার করা যায়। গঠনতান্ত্রিক প্রোগ্রামিংয়ের জন্য সি প্রোগ্রাম ভাষা ব্যবহার করা হয়।

৭০. সি++ কী?

উত্তরঃ সি++ হলো উচ্চস্তরের প্রোগ্রাম ভাষা । সি প্রোগ্রামের মতো সি++ ভাষার বৈশিষ্ট্য হলো এটা বানিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের ভাষা। এটি বহু প্রয়োগের ভাষা । ইহা উচ্চস্তরের ভাষা। এ ভাষার কম্পাইলড কোড মেশিন নির্ভও নয়।

৭১. জাভা কাকে বলে?

উত্তরঃ জাভা হলো উচ্চস্তরের ভাষা। এ ভাষার মূল বৈশিষ্ঠ্য হলো কম্পাইলড কোড মেশিন নিভর। সি++ প্রোগ্রামের মতো জাভা ভাষার বৈশিষ্ঠ্য হলো ইহা বানিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের ভাষা।

৭২. চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা কী?

উত্তরঃ বিজ্ঞানীগন কম্পিউটারের ভাষা উন্নতির জন্য অবিরত চেষ্টা করে চলছেন। তাদের অবিরত চেষ্টার ফসল হলো চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে 4GL, ফক্স প্রো, ভিজুয়্যাল বেসিক, কোবল, এম এস এক্সেস, এস.কিউ,এল. এ সব প্রোগ্রামগুলো চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা নামে পরিচিত। এ সব ভাষায় ডাটাবেজ কুয়েরী, অনুসন্ধান, সাজানো এবং প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা লাভ করা যায়।

৭৩. প্রোগ্রাম তৈরীর ধাপসমূহ কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারের সাহয্যে কোন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যে কতকগুলো পদক্ষেপ নিতে হয় এ পদক্ষেপ সমূহ কে প্রোগ্রাম তৈরীর ধাপ বলে।

৭৪. প্রোগ্রামের ভাষা কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারের তার নিজের বোধগম্য ভাষায় নির্দেশ দানের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ, সংকেত ইত্যাদি বিন্যাসই হচ্ছে প্রোগ্রা। এ সংকেত, বর্ণ, শব্দ এগুলোর বিন্যাসকেই এক সাথে বলা হয় প্রোগ্রামের ভাষা।

৭৫. ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তরঃ ধ্রুবক বলতে এমন কোনো মানকে বোঝানো হয়েছে যা প্রোগ্রাম করার পর পরিবর্তন করা যায় না । অর্থাৎ ’সি’ প্রোগ্রামিংয়ের প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় যে সকল মানের কোনো পরিবর্তন হয়না তাকে ধ্র“বক বলে।

৭৬. চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ চলক মানে পরিবর্তনশীল। চলক বলতে এমন কোনো মানকে বোঝানো হয় যা প্রোগ্রামে চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ ’সি’ প্রোগ্রামিংয়ে প্রোগ্রাম নির্বাহে সময় যে সকল মান ব্যবহারকারী প্রয়োজনানুসারে পরিবর্তন করতে পারে তাকে চলক বলে।

No comments:

Post a Comment