আপনাদের আন্তরিক অভিন্দন ও শুভেচ্ছা

Wednesday, July 4, 2018

মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৫ সালের মে মাসে।
মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রথমে ফরিদপুর জেলার (১৮১১ সালে সৃষ্ট) অধীনে।
ছিল। প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনকল্পে ১৮৫৬ সালে মানিকগঞ্জ মহকুমাকে
ফরিদপুর জেলা থেকে ঢাকা জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৩১ মার্চ ১৯৮৪
সালে মানিকগঞ্জকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
২. নামকরণ : মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণের ঐতিহাসিক প্রমাণ আজও পাওয়া ।
যায়নি। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী মানিক শাহ নামে এক সুফি সাধকের
নামানুসারে এই জেলার নামকরণ হয়েছে মানিকগঞ্জ । কেই কেউ বলেন,
দুর্ধর্ষ পাঠান সরদার মানিক ঢালীর নামানুসারে নামকরণ হয়েছে মানিকগঞ্জ ।
অনেকে মনে করেন, বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিশ্বাসঘাতক
মানিক চাদের নামানুসারে ইংরেজরা মানিকগঞ্জ নামকরণ করেন।
৩. আয়তন : (প্রায়) ১৩৭৮.৯৯ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৩,৯২,৮৬৭ জন। পুরুষ-৬, ৭৬,৩৫৯ ও
মহিলা৭,১৬৫০৮ ।বৃদ্ধিরহার :০.৮০%ও ঘনত্ব(বর্গ কি. মি.):১,০০৭ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৭টি। মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয়, সিংগাইর,
সাটুরিয়াহরিরামপুর, ঘিওর ও দৌলতপুর।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৭টি। মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয়, সিংগাইর,
সাটুরিয়াহরিরামপুরঘিওর ও দৌলতপুর।
৭. সংসদীয় আসন : ০৩টি । (১) দৌলতপুর উপজেলা. ঘিওর উপজেলা ও
শিবালয়। (২) সিংগাইর, হরিরামপুর উপজেলা ও মানিকগঞ্জ সদরের
নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : পুটাইল, ভাড়ারিয়া ও হাটিপাড়া। (৩) নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ও ইউনিয়নসমূহ চ পুটাইল,
ভাড়ারিয়া, হাটিপাড়া ও সাটুরিয়া উপজেলা।
৮. পৌরসভা০২টি, ইউনিয়ন-৬৫টি।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৬৪ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : মানিকগঞ্জ বাস স্টেশন, দৌলতপুর বাস স্টেশন, ঢাকা
মানিকগঞ্জ বিআরটিসি বাস স্টেশন মতিঝিল ইত্যাদি। এনডব্লিউডি কোড
নম্বর- ০৬৫১ ও পোস্ট কোড-১৮০০।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক মানিকগঞ্জের কাগজ, মানিকগঞ্জের সংবাদ ও আল ।
আযান।
১২. উপজেলা ভূমি অফিস-০৫টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৬৭টি।
১৩. মৌজার সংখ্যা- ১,৩৫৭টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,৬৬৮টি।
১৪. মোট জমি : ১২০৭৯৭.৩২ হেক্টর ।
১৫. বিশিষ্ট ব্যক্তি : ড. অমর্ত্য সেন, শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এ
কে এম নূরুল ইসলাম, কর্নেল (অব:) এম এ মালেক, ক্যাপ্টেন (অব:)
আন্দুল হালিম চৌধুরীহীরালাল সেন, খান আতাউর রহমান, কণ্ঠশিল্পী
মমতাজ বেগম ও কিশোরীলাল রায় চৌধুরী।
১৬. আদর্শ গ্রাম- ২২টি । শিক্ষার হার-৫৬%।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৭১৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৯২টি,
কলেজ -১৯টি, উচ্চতর মাদ্রাসা-২৫টি ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা-৩৯টি।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২,২১০টি।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৬টি,
ক্লিনিক-১১৬ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্ৰ-০২টি ।
২০. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, পাট, সবজি ইত্যাদি।
২১নদনদীর নাম : পদ্মাযমুনাধলেশ্বরী, ইছামতি ও কালিগঙ্গা।
২২. দর্শনীয় স্থান : বালিয়াটি প্রাসাদ, তেওতা জমিদার বাড়ি, তেওতা নবরত্ব
মঠ, মানিকগঞ্জের মত্তের মঠ, রামকৃশন মিশন সেবাশ্রম, শিব সিদ্ধেশ্বরী
মন্দির, মানিকগঞ্জের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ীমানিকগঞ্জের গৌরাঙ্গ মঠ,
নারায়ণ সাধুর আশ্রম, মাচাইন গ্রামের ঐতিহাসিক মাজার ও পুরোনো
মসজিদ, কবিরাজ বাড়ীবাঠইমুড়ী মাজার ও ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়।
২৩. জেলার ঐতিহ্য : বর্তমান মানিকগঞ্জের মানুষ শতাব্দী ধরে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
সহমর্মিতা নিয়ে বসবাস ও জীবন ধারণের যে প্রথা তারা প্রতিষ্ঠা করে।
গিয়েছিলেন সময়ের বিবর্তনে তা ঐতিহ্য হিসেবে বয়ে চলেছেন এ প্রজন্মের
মানুষ ।

No comments:

Post a Comment