আপনাদের আন্তরিক অভিন্দন ও শুভেচ্ছা

Wednesday, July 4, 2018

গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৮৫৪ সালে মাদারীপুরে একটি মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর
আগে মাদারীপুর অঞ্চল ছিল বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। ১৮৭২ সালে মাদারীপুর।
মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামে একটি থানা গঠিত হয়। ১৯০৯ মাদারীপুর মহকুমাকে
ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ এবং কোটালীপাড়া থানার
সঙ্গে ফরিদপুর মহকুমার মুকসুদপুর থানাকে নবগঠিত গোপালগঞ্জ মহকুমার।
অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭০ সালে । পরে
এটি শহরে উন্নীত হয়। ১৯১০ সালে মহকুমা অফিসারের বেঞ্চ কোর্ট উন্নীত হলো।
ফৌজদারি কোর্টে। ১৯২৫ সালে সিভিল কোর্ট চালু হয়। ১৯৩৬ সালে মুকসুদপুর।
থানার অংশ থেকে কাশিয়ানী থানা গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে গোপালগঞ্জ সদর
থানাকে ভেঙ্গে টঙ্গীপাড়া নামক নতুন একটি থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১
ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
২. নামকরণ : গোপালগঞ্জ জেলা শহরের রয়েছে এক প্রাচীন ইতিহাস। দক্ষিণেশ্বরের
রাণী রাসমনির নাতি গোপালের নামানুসারে মধুমতি নদীর তীরসংলগ্ন এই ছোট
গঞ্জের নাম রাখা হয় গোপালগঞ্জ ।
৩. আয়তন : (প্রায়) ১৪৮৯৯২ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১১,৭২,৪১৫ জন। পুরুষ- ৫,৭৭৮৬৮ ও মহিলা
৫,৯৪,৫৪৭। বৃদ্ধির হার : ০.০৬% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৭৯৮ জন ।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ৫টি। গোপালগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী,
কোটালীপাড়া ও টঙ্গীপাড়া।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ৫টি। গোপালগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী,
কোটালীপাড়া ও টঙ্গীপাড়া।
৭. সংসদীয় আসন : ০৩টি। (১) মুকসুদপুর উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
ব্যতীত কাশিয়ানী উপজেলা : সিংগাহাতিয়াড়া, পুইওর, বেথুড়ীনিজামকান্দি,
ওড়াকান্দি ও ফুকরা। (২) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ও কাশিয়ানী উপজেলার
নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ , সিংগা, হাতিয়াড়া, পুইশুর, বেথুড়ীনিজামকান্দি,
ওড়াকান্দি ও ফুকরা। (৩) টঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা।
৮. পৌরসভা০৪টি ও ইউনিয়ন-৬৮টি।
৯. বিশিষ্ট ব্যক্তি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, শেখ হাসিনা
শেখ সেলিম, মো: ফারুক খান, মোল্লা জালালউদ্দিন আহমেদ, শামছুল হক
ফরিদপুরীকবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, মথুরানাথ বোস, রমেশ চন্দ্র মজুমদার, হরিচাদ
ঠাকুরফটিক গোসাই, মধুসূদন সরস্বতীহরিদাস সিদ্ধার্থ বাগাশী, খান বাহাদুর
রোকন উদ্দিন আহমেদ, মৌলভী আবদুল হাকিম, আন্দুল কাদের খান, বেগম
মজিদুন্নেছা, চন্দ্র বোস, শেখ মোশাররফ হোসেন খান, আন্দুস সালাম খান, কাজী।
দীন মুহাম্মদ, কবি আমির হোসেন খান, কবি কাসেম রেজা, সাংবাদিক নির্মন সেন
প্রমুখ ।
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে২৩২ কি. মি.।
১১. যোগাযোগ ব্যবস্থা : চুয়াডাঙ্গা বাস স্টেশন, টঙ্গীপাড়া-ঢাকা বাস স্টেশন,
গোপালগঞ্জ। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৬৬৮ ও পোস্ট কোড-৮১০০
১২. পত্রপত্রিকা : দৈনিক যুগের সাথী ও পূর্বাশা।
১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৫টি।
১৪. মৌজার সংখ্যা-৬১৮টি ও গ্রামের সংখ্যা-৮৮০টি।
১৫. শিক্ষার হার-৫১.৩৭%
১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, পাট, সবজি ইত্যাদি।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জুনিয়র স্কুল-৩২টি, উচ্চ বিদ্যালয়-১৫২টি, স্কুল এন্ড কলেজ-২টি
ও কলেজ-১৯টি ।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১,৮৬৬টি ।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল ০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৫টি, ক্লিনিক-
৬টি
২০. নদনদীর নাম : মধুমতি ও কুমার।
২১. দর্শনীয় স্থান : টঙ্গীপাড়ার ঐতিহাসিক নিদর্শন, বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ, মুকসুদপুরের
ঐতিহাসিক নিদর্শন, গোপালগঞ্জ সদরের ঐতিহাসিক নিদর্শন, থানাপাড়া জামে
মসজিদ, খাগাইল গায়েবী মসজিদ, কোর্ট মসজিদসেন্ট মথুরানাথ এজি চার্চ,
সর্বজনীন কালিমন্দির, নয়নাভিরাম । গোপালগঞ্জ, বিলরুট ক্যানেল, আরপাড়া ।
মুন্সীবাড়ি, শুকদেবের আশ্রম, থানার পাড়দীঘি, উলপুর জমিদার বাড়ি ও ৭১-এর
বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ।
২২. জেলার ঐতিহ্য : গওহরগাঙ্গা গ্রামে মুসলিম বীর ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন ।
বখতিযার খিলজীর বঙ্গ বিজয়ী তেজদীপ্ত সত্যের স্বর্গীয় সাধকের ছোয়া এবং তার
বংশধরদের ছোঁয়ায় টঙ্গীপাড়া আজ এক অন্যতম ধর্মীয় তীর্থভূমি। তাঁর হাতে গড়া।
গওহরগাঙ্গা জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা আজও
লাখো মুসল্লির আনাগোনায় মুখরিত ও হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের দিক থেকে টঙ্গীপাড়ায়
রয়েছে জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি।

No comments:

Post a Comment