আপনাদের আন্তরিক অভিন্দন ও শুভেচ্ছা

Wednesday, July 4, 2018

কিশোরগঞ্জ জেলার ইতিহাস

১সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭৯০ সালে। মোমেনশাহী জেলার কালেক্টর সাহেব বিশাল।
. মোমেনশাহী জেলার স্থানে স্থানে থানা স্থাপনের তাগিদে ঢাকা রেভিনিউ বোর্ডের
কাছে পরানগঞ্জ, কটিয়াদী, চাদপুর, সিরাজগঞ্জ, জগনাথগঞ্জ, শের মদন, শের
দিবার দিযাশের মাচরা প্রভৃতি স্থানের প্রস্তাব পেশ করেন। ১৭৯২ সালের
মধ্যে সিরাজগঞ্জসহ এসব এলাকায় প্রথম বিলেতি প্যাটানের থানা স্থাপিত হয়।
১৮৪৫ সালে মোমেনশাহী জেলায় ধরমচান্দ ঘোষ প্রথম ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
নিযুক্ত হয়ে আসেন। ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনশাইী জেলার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি
মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব করেন। শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, হাজীপুর, পিংনাসহ ৪
থানা নিয়ে ১৮৪৫ সালে জামালপুর মহকুমা এবং নিকলীবাজিতপুর, ফতেপুর
ও মাদারগঞ্জ এই ৪ থানা নিয়ে হুসেনপুর বা নিকলী মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব
করা হয়। ১৮৪৫ সালের এপ্রিল মাসে সরকার সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর মহকুমা
দুটি স্থাপনের অনুমতি দেন। ফলে ১৮৪৫ সালে বিশাল মোমেনশাহী জেলার
অধীনে জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ নামে দুটি মহকুমার সৃষ্টি করা হয়।
পরবর্তীকালে মোমেনশাহী জেলাকে বিভক্ত করে ১৮৬৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা
সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. নামকরণ : কিশোরগঞ্জের নামকরণের উৎস সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের ধারণা ও
জনশ্রুতি অনুযায়ী অনুমান করা হয়, বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত বত্রিশ প্রামাণিক
পরিবারের প্রয়াত কৃষ্ণ দাশ প্রামাণিকের ষষ্ঠ ছেলে নন্দকিশোরের কিশোর" ও
তারই প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় হাট বা গঞ্জের ‘গঙ' যোগ হয়ে কিশোরগঞ্জ নামকরণ
হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়) ২৬৮৯ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ২৯,১১,৯০৭ জন। পুরুষ- ১৪,৩২,২৪২ ও মহিলা
১৪,৭৯,৬৬৫ । বৃদ্ধির হার : ১.১৪% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১০৮৩ জন ।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ১৩টি। কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর,
পাকুন্দিয়াভৈরব, হোসাইনপুর, কটিয়াদি, করিমগঞ্জ, নিকলি, তাড়াইল,
অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১৩টি। কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর,
পাকুন্দিয়াভৈরব, হোসাইনপুর, কটিয়াদি, করিমগঞ্জ, নিকলি, তাড়াইল,
অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা।
৭. সংসদীয় আসন : ০৬টি । (১) কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা। (২)
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা। (৩) তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা। (৪)
ইটনা ও মিঠামইন উপজেলা। (৫) নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলা। (৬)
কুলিয়ারচর ও ভৈরব উপজেলা।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তি ; চন্দ্রাবতীসত্যজিত রায়, তাহের উদ্দিন মল্লিক, মনির উদ্দিন
ইউসুফ, আতাউস সামাদ, ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, জিলুর রহমান, সৈয়দ নজরুল
ইসলাম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এড. আন্দুল হামিদ, শ্ৰী মনোরঞ্জন ধর,
আলহাজ্ব আবুল কাসেম কাঞ্চন মিয়া প্রমুখ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-১৪০ কি. মি. ও রেলপথে-১৩৭ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস- কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন, ময়মনসিংহ বাস
স্টেশন, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মতিঝিল, গুলিস্থান বিআরটিসি বাস স্টেশন ইত্যাদি।
রেল - ভৈরববাজার রেলওয়ে স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৯৪১ ও
পোস্ট কোড-২৩০০।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক আজকের দেশ, আজকের সারাদিন, শতাব্দির কণ্ঠ
সাপ্তাহিক আলোরমেলাগৃহকোণ ও হোসেনপুর বার্তা।
১২. পৌরসভা০৮টি ও ইউনিয়ন-১১০টি।
১৩. উপজেলা ভূমি অফিস- ১৩টি।
১৪. মৌজার সংখ্যা-১,৭১১টি ও গ্রামের সংখ্যা- ১,৭৯৪টি।
১৫. শিক্ষার হার-৩৮.২৭%
১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, পাট, ইস্, , তামাক, বেগুন, সরিষা ও ভুটা।।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৮৫৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২১০টি, নিম্ন
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৪২টি, কলেজ-১৪টি ও মাদ্রাসা-২৩৭টি ।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৪,৫৪৯টি।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০৩টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-১০টি, ইউনিয়ন
স্বাস্থ্য কেন্দ্র-৬৯টি ও ক্লিনিক-১৭টি।
২০. নদনদীর নাম : পুরনো ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, ধলেশ্বরী, কালনী, ধনু ও বাউলাই ।
২১. দর্শনীয় স্থান । ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী, ঐতিহাসিক এগারসিন্ধুর দুর্গ, কবি
চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, দিলীর আখড়াশোলাকিয়া ঈদগাহ, পাগলা মসজিদ,
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, হাওড় অঞ্চল, সুকুমার রায়ের বাড়ি, জহুরুল
ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও দুর্জয় স্মৃতি ভাস্কর্য।
২২জেলার ঐতিহ্য : ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী, ঐতিহাসিক এগারসিন্ধুর দু, কবি
চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, দিলীর আখড়াশোলাকিয়া ঈদগাহ, পাগলা মসজিদসহ ।
অনেক স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্য রয়েছে এ জেলায়।

No comments:

Post a Comment