আপনাদের আন্তরিক অভিন্দন ও শুভেচ্ছা

Wednesday, July 4, 2018

ডেটা ট্রান্সমিশনের চ্যানেল


প্রেরণ প্রামত এবং দূরবর্তী গ্রহণ প্রামেতর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন উভয় প্রামেতর মধ্যে সংযোগ। এই সংযোগকে সাধারণতঃ চ্যানেল বলা হয়। নিম্নে কয়েক প্রকার চ্যানেলের নাম উল্লেখ করা হলো-
ক) ক্যাবল বা তার
খ) সাধারণ টেলিফোন লাইন
গ) বেতার তরঙ্গ
ঘ) মাইক্রোওয়েভ
ঙ) ভূ-উপগ্রহ ব্যবস্থা
চ) ইনফ্রাডেটর ইত্যাদি।
ক্যাবল বা তারঃ
সাধারণতঃ স্বল্প দূরত্বে অপেক্ষাকৃত অল্পপরিমান ডেটা স্থানামতরের লক্ষ্যে ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। তবে বৃহত্তর পরিসরে হাইস্পিড ডেটা কমিউনিকেশনে উন্নত ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। ক্যাবল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবলঃ
দুইটি পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে এ ধরনের তার তৈরি করা হয়। ভেতরের পরিবাহীকে বাইরের পরিবাহী থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ থাকে। বাইরের পরিবাহীকে আবার প্লাস্টিকের জ্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখার ব্যবস্থা থাকে। ভেতরের পরিবাহীটি সোজা রাখা হয় এবং বাইরের পরিবাহীটি চারদিক থেকে পেঁচানো থাকে।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলঃ
দুইটি অপরিবাহী তারকে পরস্পর পেচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয়। পেচানো তার দুইটিকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা প্রেরণ করা যায় না কারণ এ ধরনের ক্যাবলে ট্রান্সমিশন লস অত্যমত বেশি।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলঃ
যে ক্যাবলের ভিতর দিয়ে আলোক সংকেত প্রেরণ করা যায় তাকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল বলে। এই ক্যাবলের ভিতর দিয়ে পূর্ণ আভ্যমতরীন প্রতিফলন পদ্ধতিতে আলোর সিগন্যাল অনেক দূরে পাঠানো সম্ভব। খুব সুক্ষ্ম কাঁচের কনা দিয়ে তৈরী, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল প্রায় মানুষের দুটো চুলের সমান মোটা। উন্নতমানের রাবারের আবরণের ভেতর, কাঁচের প্রলেপের মাধ্যমে অপটিকাল ফাইবার গঠিত। কেবলটির ভেতরের কাঁচের প্রলেপটিকে হাল্কাভাবে বাঁকা করার সুবিধা রয়েছে, যার ফলে এটা সহজে ভেঙ্গে যায় না। কাঁচের ভেতরের ফাঁপা অংশটির মধ্য দিয়ে তথ্যসমূহ দ্রম্নতগতিতে আদান প্রদান করা হয়ে থাকে।
বৈদ্যুতিক সংকেতকে আলোক সংকেতে রম্নপামতরিত করার জন্য এই ক্যাবলের এক প্রামেত বিশেষ এক প্রকার ডিভাইস থাকে। অন্য প্রামেত আলোক সংকেতকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপামতরিত করার জন্য অন্য আর এক প্রকার ডিভাইস থাকে।
বৈশিষ্ট্য
অত্যমত উচচ গতিতে তথ্য সমূহ আদান প্রদান করা যায়। সাধারণত ১৮৬০০০ মাইল /সেকেন্ড।
আকারে ছোট এবং ওজনে অত্যমত কম।
তড়িৎ চুম্বকীয় প্রভাব মুক্ত।
শক্তির অপচয় কম হয়।
ট্রান্সমিশন লস অত্যমত কম।
সাধারণ টেলিফোন লাইনঃ
টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে ডেটা ও কন্ঠস্বর উভয় প্রকারেই যোগাযোগ করা যায়। এজন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার মাধ্যম পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বহুলভাবে ব্যবহৃত হচেছ।টেলিফোনে ডিজিটাল সংকেত পাঠানোর গতিবেগ সাধারণত সেকেন্ডে ১২০০ বিট থেকে ৫৬০০ বিট।
বেতার তরঙ্গঃ
সহজে তৈরি করা সম্ভব রেডিও ওয়েভ, বহুদূর পর্যমত পৌঁছে দেওয়া যায় এবং রেডিও ওয়েভ বিল্ডিং, কাঁচ বহুকিছুকে ভেদ করে চলে যেতে পারে একারনে রেডিও ওয়েভের ব্যবহার যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচেছ। এ ব্যবস্থায় সংকেত প্রেরণের গতিবেগ ২৪ কিলোবিট।
মাইক্রোওয়েভ ও ভূ-উপগ্রহ ব্যবস্থাঃ
কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেকেন্ডে প্রায় এক গিগা বা তার চেয়ে বেশী কম্পান বিশিষ্ট এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে প্রেরণ করা সম্ভব। এ ধরনের ওয়েভকে মাইক্রোওয়েভ বলে। এই সংযোগ ব্যবহার করে ডেটা, কথা, ছবি ইত্যাদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানামতর সম্ভব।
ইনফ্রারেডঃ
ইনফ্রারেড এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, যার ফ্রিকোয়েন্সী সীমা টেরাহার্টজ পর্যমত হতে পারে। এই প্রযুক্তিতে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার কাজটি সম্পন্ন হয় এলইডি (LED) এর মাধ্যমে। রিসিভিং এন্ডে ফটোডায়োড সিগন্যাল রিসিভ এর কাজ করে।

No comments:

Post a Comment